ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ পর্যালোচনায় কমিটি পুনর্গঠন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ পর্যালোচনায় কমিটি পুনর্গঠন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়

ঢাকা: সংবাদকর্মীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য ‘নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড, ২০১৮’ এর সুপারিশ পর্যালোচনায় এর আগে গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠন করেছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২১ জানুয়ারি) বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

 

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, আগে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যেহেতু মন্ত্রী পরিবর্তন করা হয়েছে এজন্য কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।  

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে স্বরাষ্ট্র, শিল্প, কৃষি ও তথ্যমন্ত্রী এবং সংস্কৃতি ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী সদস্য হিসেবে থাকবেন।  

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠকে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে ওই কমিটিতে ছিলেন- শিল্প, স্বরাষ্ট্র, তথ্য এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী। তথ্য মন্ত্রণালয় এই কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল।

এ বিষয়ে আগামী বছরের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করার কথা ছিল। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগে যা ছিল তাই।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আগে জানিয়েছিলেন, সাংবাদিক-কর্মচারীদের পাঁচটি শ্রেণিতে ১৫টি গ্রেড রয়েছে। প্রথম তিনটি গ্রেডে মূল বেতনের ৮০ শতাংশ এবং নিচের তিন গ্রেডে ৮৫ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া ৬০-৭০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়। আর মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বৈশাখি ভাতা যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানিয়েছিলেন, নবম ওয়েজ বোর্ডে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য বেতন কাঠামোর কোন সুপারিশ নেই। বাংলাদেশ শ্রম আইন থেকে বের হয়ে সব গণমাধ্যমকর্মীর জন্য একটি স্বতন্ত্র আইন প্রণয়ন এবং সংবাদপত্র শিল্পের ন্যায় বেসরকারি টেলিভিশন, বেতার ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জন্য নতুন করে সংবাদপত্র মজুরি বোর্ডের অনুরূপ অথবা ভিন্ন একটি ওয়েজ বোর্ড গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে।

অনলাইন মিডিয়া আলাদা রোয়েদাদ করার সুপারিশ করা হয়েছিল।

গত ৪ নভেম্বর সাংবাদিকদের জন্য নবম ওয়েজবোর্ডের রোয়েদাদ এর সুপারিশ তথ্যমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন নবম ওয়েজবোর্ডের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক। এই সুপারিশ মন্ত্রিসভায় উত্থাপিত হয়।

ওয়েজ বোর্ডে সাংবাদিকদের বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করে থাকে। ২০১২ সালে সাংবাদিকদের জন্য অষ্টম ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। পরের বছর এই বোর্ড নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করেছিল।

২০১৫ সালে সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার পর নিজেদের নতুন বেতন কাঠামোর জন্য আন্দোলন করে আসছেন সাংবাদিকরা।

সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের জানুয়ারিতে নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করে তথ্য মন্ত্রণালয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।