বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুদকের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরীর পাঠানো চিঠিটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বিশেষ বাহকের মাধ্যমে পাঠানো হয়। দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।
চিঠিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনস্থ বিভিন্ন কার্যালয়ে কতিপয় দুর্নীতিবাজ স্বেচ্ছাচারী ও ক্ষমতা অপব্যবহারকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মস্থলে চাকরি করার সুবাদে দুর্নীতির শক্তিশালী বলায় তৈরি হয়েছে। যা স্বাস্থ্য অধিদফতরের সু-শাসনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে জানা গেছে।
‘দুদকে তাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে অনেক অভিযোগ জমা হয়েছে, যা আমাদের গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধান পর্যায়ে রয়েছে। চিঠিতে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি প্রতিরোধককল্পে বর্তমান কমর্মস্থল থেকে জরুরি ভিত্তিতে অন্যত্র বদলির ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করা হয়েছে। ’
২৩ কর্মকর্তারা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (স্বাস্থ্য) এর কার্যালয়ের সহকারী প্রধান (পরিসংখ্যানবিদ) মীর রায়হান আলী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফারুক হাসান, প্রধান সহকারী আশরাফুল ইসলাম, প্রধান সহকারী সাজেদুল করিম, উচ্চমান সহকারী তৈয়বুর রহমান, উচ্চমান সহকারী সাইফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের চট্টগ্রাম পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী ফয়জুর রহমান, প্রধান সহকারী মাহফুজুল হক, কম্পিউটার অপারেটর আজমল খান, স্বাস্থ্য অধিদফতর ময়মনসিংহের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান সহকারী-কাম হিসাবরক্ষক আব্দুল কুদ্দুস, স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেটের পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী নুরুল হক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোস আহমেদ, উচ্চমান সহকারী আমান আহমেদ, অফিস সহকারী-কাম কম্পিউটার অপরেটর নেছার আহমেদ চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদফতর খুলনা পরিচালকের কার্যালয়ের ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ হোসেন, অফিস সহকারী মো. মাসুম, প্রধান সহকারী আনোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর বরিশাল পরিচালকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী মো. রাহাত খান, উচ্চমান সহকারী জুয়েল, স্বাস্থ্য অধিদফতর রংপুরের পরিচালকের কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী আজিজুর রহমান, স্টেনোগ্রাফার সাইফুল ইসলাম এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯/আপডেট: ১৬৫৪ ঘণ্টা
আরএম/এমএ