বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয় সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘বিএসআরএফ’ সংলাপ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠার দিকে নজর দিয়েছে, কিন্তু রাস্তাঘাটে দেখা যায় প্রতিমন্ত্রী হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে, কাগজে দেখা যায় ছাত্রলীগের একদল হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেলে- এ বিষয়ে পদক্ষেপ কী?
আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসেবে তার কাছে এমনটি জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, নিজের স্বার্থেই সবার হেলমেট পরা উচিত।
প্রধানমন্ত্রী আমাকে সরকারের মাইক ধরিয়ে দিয়েছেন
প্রসঙ্গক্রমে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে আমি মাঠেরই মানুষ। আমি যখন কলেজ ছাত্রলীগের সেক্রেটারি, তখন ১৯৭৮, ৭৯, ৮০ সাল। তখন আমি চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের কোনো জনসভা হলে সেই জনসভার মাইকিং করতাম। আওয়ামী লীগের অনেক জনসভার মাইকিং আমি করেছি চট্টগ্রাম শহরে। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দলের প্রচার সম্পাদক হিসেবে, একইসঙ্গে দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব দিয়ে মাইকটি ধরিয়ে দিয়েছেন।
এর আগের বার পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করা হাছান মাহমুদ একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভায় আবারও ঠাঁই পেয়েছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
‘এবার প্রধানমন্ত্রী আমাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে সরকারের মাইকটি ধরিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ আমার ছোট বেলার মাইকিং এখনও অব্যাহত আছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই যে তিনি আমাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি আপনাদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করছি, ভবিষ্যতেও সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য সহযোগিতা প্রয়োজন। ’
মন্ত্রণালয়ের চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, লাইফ ইজ ফুল অব চ্যালেঞ্জেস, উইদাউট চ্যালেঞ্জ…, জীবনে সে-ই সফল হয় যে অসম্ভবকে সফল করতে পারে।
‘আমি ছোটবেলা থেকেই অনেক চ্যালেঞ্জের ভেতর দিয়ে গেছি, আমি অন্তত তিনবার কলমা পড়েছি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। আমাকে ইসলামী ছাত্রশিবির দু’বার ধরে নিয়ে হত্যা করার মুহূর্তে আমি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছি, একুশে আগস্টে বেঁচে গেছি। জীবন হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্রের মত, যুদ্ধক্ষেত্রে যেমন লড়াই হয়…, কাজের ক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জ হিসাবে যদি নেওয়া যায়, সব সমাধান করা না গেলেও অনেক সমস্যা সমাধান করা যায়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
এমআইএইচ/এইচএ/