ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অপচয় রোধে সরকারি কেনাকাটায় উন্মুক্ত দরপত্র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
অপচয় রোধে সরকারি কেনাকাটায় উন্মুক্ত দরপত্র অর্থনৈতিক বিষয় ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: অপচয় রোধে সরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির পরিবর্তে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কেনাকাটা করার চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, অপচয় রোধ ও অনিয়ম প্রতিরোধ করার জন্য স্বচ্ছতার নিরিখে প্রত্যেকটি সরকারি কেনাকাটা উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করতে উৎসাহিত করা হবে।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় ও ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

 

বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কমিটমেন্ট তিনি আর কোথাও অনিয়ম, ত্রুটি কোনো কাজেই দেখতে চাচ্ছেন না। সরকারি কেনাকাটার বিষয়টি একটি বড় এলাকা। আমরা যদি এক্ষেত্রে সঠিক দাম নির্ধারণ করতে না পারি। তাহলে আমাদের অপচয় বাড়বে। তাই অপচয় রোধ করার জন্য সচ্ছতার নিরিখে প্রত্যেকটি কেনাকাটা আমরা উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করার চেষ্টা করবো।

অর্থনীতি বিয়ষ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা বৈঠক সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, আজকে অর্থনীতি বিয়ষ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নীতিগত অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব এসেছিলো। কিন্তু প্রস্তাবটির অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এসব প্রকল্পগুলো একনেকে অনুমোদনের সময় বাস্তবায়নের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি অবলম্বন করার শর্ত ছিলো। তারপর বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান যদি মনে করে কাজটা যদি উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করা হয় তাহলে দেরি হবে। কারণ, মটর আছে, পাম্পসহ বিভিন্ন ধরনের কম্পোনেন্ট আছে— এগুলো আলাদা আলাদা করা হলে এখানে ইন্ট্রিগেশনের অভাব থাকবে। একটি সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন হবে না। এতে করে আমাদের সময় বেশি লাগতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।