ঘুষের টাকাসহ গ্রেফতার হয়েছেন কিশোরগঞ্জ ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার গিয়াস উদ্দিন। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার সোনালী ব্যাংকের ভাটিয়া পাড়া শাখার কর্মকর্তা মো. আকতার হোসেন গ্রেফতার হয়েছেন জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ বিতরণের এক মামলায়।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত পৃথক পৃথক জেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়৷ দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার সকাল ১১টায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অফিসে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুদকের একটি বিশেষ দলের কাছে হাতেনাতে গ্রেফতার হন ওই অফিসের সার্ভেয়ার মো. গিয়াস উদ্দিন।
কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা এম এ হাকিম শাহ-এর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দুদকের ময়মনসিংহের বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. কামরুল হাসানের নেতৃত্বে ওত পেতে থেকে ওই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় দুদকের ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, ঋণ জালিয়াতি করে টাকা আত্মসাতের এক মামলায় সকাল ১০টায় কাশিয়ানির সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ভাটিয়া পাড়া শাখার কর্মকর্তা মো. আকতার হোসেনকে গ্রেফতার করে দুদকের অপর একটি বিশেষ দল। বিভিন্ন ভুয়া ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে জালিয়াতির মাধ্যমে দুই কোটি ৫৫ লাখ সাত হাজার টাকা ঋণ দেখিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে কাশিয়ানি থানায় ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর দুদকের দায়ের করা এ মামলার মোট আসামি ছয়জন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহা।
অপরদিকে, সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমানুল্লাহকে বরিশাল শহরের চৌমাথা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে দুদকের একটি দল। তার বিরুদ্ধে দুদকের একটি মামলা রয়েছে। ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ভিজিডি কার্ডধারী স্থানীয় ২৫১ জনকে ২০ কেজি করে কম চাল দিয়ে প্রায় পাঁচ মেট্রিক টন চাল আত্মসাৎ করেছেন তিনি। যার মূল্য এক কোটি ৮২ লাখ ৪২৬ হাজার টাকা৷ গত বছরের ২৭ নভেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল হাসেম কাজী বাদী হয়ে আমানুল্লাহসহ দু’জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
আরএম/এসআই