বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব সচিব শাহ কামাল একথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমাদের সক্ষমতা বেড়েছে।
‘কিন্তু ভূমিকম্পের বিষয়টা এখনও কোনো দেশ পারে না। শুধুমাত্র জাপান ১০ সেকেন্ড আগে মোবাইলে একটা অ্যালার্ট জারি করতে পারে। আমরা সেই প্রজেক্ট গ্রহণ করার জন্য জাপানের সঙ্গে জাইকা প্রজেক্টে কাজ করছি। ’
দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন রকম পরিকল্পনা নেওয়া রয়েছে জানিয়ে ত্রাণ সচিব শাহ কামাল বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ১৬৯ কোটি টাকার ইক্যুপমেন্ট ক্রয় করে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসকে দিয়েছি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী যখন চীন সফর করেছিলেন তখন চীনা সরকার একশ কোটি টাকার অনুদান যন্ত্রপাতি দিয়েছিল, এটাও ফায়ার সার্ভিসকে দিয়েছি।
‘এছাড়া যাচাই-বাছাই করে এক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে দুর্যোগ মোকাবেলায় ইক্যুপমেন্ট কেনার জন্য। ’
বর্তমানে ১৪টি প্রকল্প চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাইকা প্রজেক্টের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকা রিজার্ভ করা আছে, যদি মেগা কোনো ডিজাস্টার আছে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে এ অর্থ ব্যয় করতে পারবো। না ঘটলে কোনো প্রকার অর্থ ব্যয় হবে না, সুদও দিতে হবে না।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে বড় বড় পাঁচটি দুর্যোগ মোকাবেলা করা হয়েছে। এজন্য দেশকে রোল মডেল বলা হয়। আমাদের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তেজগাঁওয়ে জমি পেয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, আমাদের যে জনবল রয়েছে, তারা দুর্যোগ মোকাবেলায় যে পরিমাণে দক্ষ হয়েছে, যে পরিমাণ পরিকল্পনা প্রণয়নকারী ও বাস্তবানকারী হয়েছে, যে পরিমাণে যন্ত্রপাতি আছে, আমি মনে করি যথেষ্ট সক্ষমও।
দুর্যোগ মোকাবেলায় কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাই রাইজ (বহুতল) ভবনে আগুন লাগলে আমাদের সক্ষমতা ছিলো না। এখন ২২তলা পর্যন্ত অ্যাক্সেস করার মতো ক্যাপাসিটি রয়েছে।
‘ভবন ধসে যে মেকানিক্যাল ইক্যুপমেন্ট দিয়ে উদ্ধারকাজ করার কথা সেটিও আনতে পারিনি। তারপরও কিছু কিছু যন্ত্রপাতি ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। আরো আধুনিক ও দ্রুত কাজ করতে যন্ত্রপাতি কেনার প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে সক্ষমতা তৈরি হবে,’ বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএ