বুধবার (২৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রীর সঙ্গে সোনালি ব্যাগের উদ্ভাবক ও বিজেএমসি’র বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক হোসেনের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সোনালি ব্যাগের নমুনা হস্তান্তরকালে এ কথা বলেন তিনি। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পাটমন্ত্রী সোনালি ব্যাগের উদ্ভাবক ও বিজেএমসি বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক হোসেনের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন এবং তার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।
এ সময় জানানো হয়, বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত পলিথিনের বিকল্প পচনশীল সোনালি ব্যাগ দেখতে প্রচলিত পলিথিনের মতোই হালকা, পাতলা ও টেকসই। পাটের সুক্ষ্ম সেলুলোজকে প্রক্রিয়াজাত করে এ ব্যাগ তৈরি করা হয়েছে। পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ মাটিতে ফেললে তা মাটির সঙ্গে মিশে যাবে। ফলে পরিবেশ দূষিত হবে না। এই ব্যাগ দামে সাশ্রয়ী হবে। এভাবে পাটের ব্যবহার বাড়লে ন্যায্য দাম পাবেন কৃষক। অতীতের মতোই বাংলাদেশ পাট দিয়েই বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত হবে।
বর্তমানে বিজেএমসির উদ্যোগে একটি ম্যানুয়েল পাইলট প্ল্যান্ট দিয়ে সোনালি ব্যাগ তৈরির কাজ করছে। তবে বৃহৎ পরিসরে নতুন উদ্ভাবিত সোনালি ব্যাগ তৈরিতে দেশে বা বিদেশে কোনো মেশিন তৈরি হয়নি। তাই এ ধরনের মেশিন তৈরির জন্য বিভিন্ন দেশে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে মেশিন তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রতিদিন ৩-৪ হাজার পলিব্যাগ উৎপাদন করা সম্ভব হয়।
প্রকল্পটি সফলভাবে পরিচালিত হওয়ায় আরো একটি মেশিনের মাধ্যমে দ্রুত বাণিজ্যিকভাবে দৈনিক এক লাখ পলিব্যাগের উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। পচনশীল ও পরিবেশবান্ধব পলিব্যাগ তৈরির উদ্দেশ্যে পাট থেকে সেলুলোজ আহরণ করা হয়। ওই সেলুলোজকে প্রক্রিয়াজাত করে অন্যান্য পরিবেশবান্ধব দ্রব্যাদির মাধ্যমে কম্পোজিট করে এই ব্যাগ তৈরি করা হয়। উৎপাদিত ব্যাগে ৫০ শতাংশের বেশিরভাগ সেলুলোজ বিদ্যমান।
পলিথিনের বিকল্প পচনশীল সোনালি ব্যাগ তৈরির প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয় ১২ মে ২০১৭। বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) তত্ত্বাবধানে পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ উদ্ভাবন করেছে। উদ্ভাবিত সোনালি ব্যাগ পাইলট প্রকল্প পর্যায়ে উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত প্রতিষ্ঠান বিজেএমসি। রাজধানীর ডেমরায় অবস্থিত লতিফ বাওয়ানী জুটমিলে সোনালি ব্যাগ তৈরির প্রাথমিক পাইলট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
জিসিজি/এমজেএফ