বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত তারা।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বাংলানিউজকে জানান, বুধবার রাতে সাবেক দুই আইজিপির জামিন আদেশের কপি কারাগারে পৌঁছায়। যাচাই-বাছাই শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে এ কারাগারে বন্দি ছিলেন তারা।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি সাবেক দুই আইজিপির আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তাদের জামিন দেন হাইকোর্ট।
পরে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ আবেদনের ওপর বুধবার (২৩ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। এ আদেশের ফলে তাদের জামিন বহাল রয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় গতবছরের ১০ অক্টোবর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে অপর ১১ আসামিকে।
এছাড়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) মো. আশরাফুল হুদা ও শহুদুল হকসহ কয়েকজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ঘটনা ও বিচারপ্রক্রিয়া
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা।
তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
আরএস/এসএইচ