শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাহবুব মিরপুরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সাব-রেজিস্ট্রার পদে চাকরি করতেন।
ঢাকা রেলওয়ে থানা (কমলাপুর) বিমানবন্দর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, সকালে আশকোনা ও কাওলার মধ্যবর্তী রেললাইনে বসেছিলেন মাহবুব। এসময় ঢাকাগামী একটি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত মাহবুব আলমের ছোট ভাই আবু জাফর প্রদীপ বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে অফিস থেকে মাহবুব বাসায় ফিরেনি। রাত ৯টার পর থেকে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিলো। রাতে অনেক খোঁজাখুজি করেও তার হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ওই রাতেই বিমানবন্দর থানায় গিয়ে তার নিখোঁজের বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ আগে কিছুটা তদন্ত করে পরে জিডি নেবে বলে জানান। এরপর শুক্রবার সকালে মাহবুবের মোবাইলের মাধ্যমে জানতে পারি, আশকোনা রেলগেটে ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি মারা গেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তার ভাই ট্রেনের নিচে কাটা পড়েনি। তাকে কেউ হয়তো হত্যা করে থাকতে পারে।
তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কায়তলা গ্রামে। বাবার নাম এম এ মান্নান। স্ত্রী ও ২ মেয়েকে নিয়ে মিরপুর শেওড়াপাড়ায় থাকতেন। নিহত ডেমরা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে সাব রেজিস্ট্রার হিসেবে চাকরি করেতেন, আগে মিরপুর অফিসে ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
এজেডএস/আরবি/