১ ফ্রেবুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ৩৫ ফুট দীর্ঘ ঘুড়ি উড়িয়ে দু’দিন ব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং ঝু।
শনিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা বেনু।
তিনি জানান, পরিবেশ, সংস্কৃতি, সামাজিক সমস্যা নিয়ে আদর্শগত ভাবনা থেকে এবার জাতীয় ঘুড়ি উৎসবের আয়োজনে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, গ্রিন ভয়েজ।
উৎসব উদ্বোধনের আগে কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতের পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য ঘুড়ি ফেডারেশন, বাপা ও গ্রিন ভয়েজ যৌথ উদ্যোগে ‘চাই নির্মল সৈকত ও সমুদ্রের কক্সবাজার’ শিরোনামে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছে।
এসময় শাহজাহান মৃধা বেনু জানান, এবারের উৎসবে উড়ানো হবে মনোলোভা সব ঘুড়ি। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে বেসাতি, ড্রাগন, ডেল্টা, বহুবিধ বক্স, মাছরাঙা, ঈগল, ডলফিন, অক্টোপাস, সাপ, ব্যাঙ, মৌচাক, কামরাঙা, গুবরেপোকা, আগুনপাখি, পেঁচা, ফিনিক্স, জেমিনি, চরকি, পালতোলা নৌকা, সাইকেল, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, কুকুর, ব্যাঙ, হাতি, ফুটবল।
উৎসবে ঘুড়ি ছাড়াও বাঙালি ঐতিহ্যের আদি উপাদান ২৫ ফুট দীর্ঘ বিরাট টেরাকোটা টেপা পুতুল, নৃত্যরত বিশাল হাওয়াই মানুষ, ভয়ঙ্কর ড্রাগন, আকর্ষণীয় চরকি, ঘুড়ি, ফানুস, বাঘ ছানার নৃত্য, এয়ারশিপের মতো অনেক রকম ডিসপ্লে আইটেমও থাকছে।
উৎসবে দু’রাতেই সৈকতের আকাশ ঝলকাবে আতশবাজি। এছাড়া প্রতিদিনই থাকছে ঘুড়ি প্রতিযোগিতা। ২ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলা বৈরী দানবদাহনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে জমকালো ঘুড়ি উৎসব।
বেনু জানান, এবারের ঘুড়ি উৎসবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ৫ লাখ টাকার অর্থ সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। উৎসবের লক্ষ্য নিয়ে বেনু বলেন, শিশু কিশোরদের বিশেষভাবে সাধারণ মানুষকে ঘুড়ির প্রতি মনযোগী করা, ঘুড়ির আধুনিক ধারার সঙ্গে পরিচিত করা, আধুনিক বাজিকর ঘুড়ি নির্মাণ ও ওড়ানোর কাজে প্রশিক্ষিত করাসহ ঘুড়ির সার্বিক বিকাশ ঘটাতেই কাজ করছে বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন। পৃথিবীর যেসব দেশে ঘুড়ি ওড়ানো তাদের সংস্কৃতির অংশ, সেসব দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করানোও এ ঘুড়ি ফেডারেশনের অন্যতম লক্ষ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৯
টিএম/এসএইচ