রোববার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মো. আলীর দায়ের করা মামলায় তানজিল আহমদকে আটক করা হয়। তানজিল সুনামগঞ্জ জেলা পল্লি সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার উত্তর দুবাগ গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (২৬ জানুয়ারি) দিনগত রাতে লাঞ্ছিত ট্রাফিক কনস্টেবল আলী বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও মারধরের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তানজিলকে একমাত্র আসামি করা হয়।
এর আগে, শনিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল আলী সরকারি কর্মকর্তা তানজিলের মোটরসাইকেলটি থামাতে সংকেত দেন। উল্টো রাস্তায় আসায় তাকে থামার সংকেত দেওয়া হয়। কিন্তু সংকেত অমান্য করে যাওয়ার চেষ্টা করলে এগিয়ে গিয়ে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন ট্রাফিক কনস্টেবল। তাতেই বাধ সাধেন তানজিল। তিনি মোটরসাইকেল থামিয়ে ট্রাফিক সদস্যের হাতের লাঠি কেড়ে নিয়ে তাকে বেধড়ক পেটান। এক পর্যায়ে উপস্থিত স্থানীয় জনতা এগিয়ে এসে তানজিলকে নিবৃত করেন। পরে চৌহাট্টা পয়েন্টে থাকা ট্রাফিকের অন্য সদস্যরাও এগিয়ে এসে ওই কর্মকর্তাকে আটক করেন এবং তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও জব্দ করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
এনইউ/আরআইএস/