তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, তারা আগামীতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। শুধু গার্মেন্ট খাতে নয়, অন্যান্য খাতেও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রোববার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধিদলের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা জানান। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনসে তেরিঙ্ক। এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব আফরোজ খান, ইইউ’র ট্রেড অ্যাড অ্যাডভাইজার আবু সৈয়দ বেলালসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতসহ সব খাতে কাজ করতে আগ্রহী ইইউ। এজন্য আমরা আজ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ও অন্যান্য খাতের উন্নয়নে তাদের কাছে কারিগরি সহযোগিতা চেয়েছি। আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।
তিনি বলেন, ইইউ’র রাষ্ট্রদূত শ্রমিকদের মজুরি কাঠামো নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা দ্রুত সমাধান করে গ্রেজেট প্রকাশ করায় সরকারের প্রশংসা করেন। আমরা তাদেরকে জানিয়েছি, পোশাক খাতে আগামীতে এধরনের পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য শ্রমঘন এলাকাতে ২৯টি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত এ খাতে মনিটরিং করবে। এছাড়া শ্রমিকদের অভিযোগ গ্রহণের জন্য ৫ ডিজিটের হটলাইন চালু করতে যাচ্ছে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত রেনসে তেরিঙ্ক বাংলাদেশের পোশাকখাতে মজুরি বোর্ড নিয়ে সমস্যা অত্যন্ত সুন্দরভাবে সমাধান করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রদূত আগে যেসব সহযোগিতা ছিল তা অব্যাহত রাখাসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ও পোশাক খাতের বাইরে অন্যান্য খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান মন্নুজান সুফিয়ান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস