অভিযানে গিয়ে পাবনা বিআরটিএ অফিসে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি পাননি দুদক কর্মকর্তারা।
দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দেশের বিভিন্ন জেলার বিআরটিএ কার্যালয়ে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন সনদ, ফিটনেস সনদ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে অনিয়ম ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ এলে রোববার (২৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ’র (বিআরটিএ) ইকুরিয়া, খুলনা, সিলেট, পাবনা কার্যালয়ে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের ৪টি টিম একযোগে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করে।
দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরীর নির্দেশে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক জাহিদ কালাম ও উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহাজাহান মিরাজের সমন্বয়ে পুলিশসহ ছয় সদস্যের একটি টিম বিআরটিএ ইকুরিয়া কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে ও যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন সনদ, ফিটনেস সনদ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের প্রতিটি ধাপে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পায়।
দুদকের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে অবস্থানরত দালালরা পালিয়ে গেলেও দুদক টিম টাকাসহ হাতেনাতে এক দালালকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ওই দালালকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া দুদকের অপর তিনটি টিম পাবনা, খুলনা ও সিলেট অফিসে একযোগে অভিযান চালায়। এ সময় পাবনা বিআরটিএ অফিসে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিত পাওয়া যায়নি বলে জানান প্রণব।
তিনি বলেন, খুলনা ও সিলেট কার্যালয়ে দুদক টিম বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের চিত্র উদঘাটন করে। অপরদিকে যানবাহন রেজিস্ট্রেশন এবং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সেবাগ্রহীতাদের দীর্ঘলাইন থাকলেও অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে লাইন ভঙ্গ করে দ্রুত সেবা নেওয়া এবং ফিটনেস চেক না করে গাড়ির ফিটনেস সনদ প্রদান করার চিত্র পাওয়া যায়।
এ সময় দুদকের হস্তক্ষেপে তাৎক্ষণিক সুশৃংখল পরিবেশে গাড়ির ফিটনেস প্রদান নিশ্চিত করা হয়। দুদকের পক্ষ থেকে উপস্থিত জনসাধারণকে কোনো ধরনের ঘুষ লেনদেন ছাড়া সেবাগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয় এবং কোনোরকম দুর্নীতি হয়রানির শিকার হলে তাৎক্ষণিক দুদক হটলাইন ১০৬-এ জানানোর অনুরোধ করা হয়।
অভিযান সম্পর্কে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, বিআরটিএ’র শৃঙ্খলা ফিরে না এলে দুদক সরাসরি দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া অনিয়মের বর্তমান চিত্র পাল্টাতে হলে অটোমেশন ও ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
আরএম/জেডএস