ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পুলিশ সপ্তাহ শুরু সোমবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৯
পুলিশ সপ্তাহ শুরু সোমবার লোগো

ঢাকা: বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দমুখর পরিবেশে প্রতিবারের মতো এবারো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০১৯’। ‘পুলিশ জনতা ঐক্য গড়ি, মাদক-জঙ্গি নির্মূল করি’ মূল প্রতিপাদ্য সামনে রেখে পাঁচ দিনব্যাপী এ পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে বর্ণাঢ্য বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন তিনি।

এসময় প্রধানমন্ত্রী সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত ১১টি কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহীদলের প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন।

এবারের পুলিশ সপ্তাহে প্যারেড অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) আবিদা সুলতানা। তার নেতৃত্বে পরিচালিত প্যারেডে অংশ নেবেন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য।

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ২০১৮ সালে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ৪০ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ৬২ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ১০৪ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ১৪৩ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ দেওয়া হবে।

এর মধ্যে পরিদর্শক মরহুম মো. জালাল উদ্দিন ও কনস্টেবল মরহুম মো. শামীম মিয়াকে বিপিএম-মরণোত্তর পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যরা পদক গ্রহণ করবেন।

উদ্বোধনী দিনে প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্তদের পদক দেবেন। এছাড়া, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টল পরিদর্শন ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কল্যাণ প্যারেডে অংশ নেবেন তিনি।

এদিকে, পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শক আলাদা বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ‘শৃঙ্খলা নিরাপত্তা প্রগতি’ মন্ত্রে দীক্ষিত বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে। জঙ্গিবাদ দমন ও মাদক নির্মূলে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা দেশ বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন, যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। ’

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে উল্লেখ করেছেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও স্থানীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশের দক্ষতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ বিশ্বে ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশের সব প্রয়োজন ও সঙ্কটকালে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের পুলিশ বাহিনীর সাফল্য ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।

পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্মেলন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের সম্মেলন, আইজি ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র/মাদক উদ্ধার প্রভৃতি পুরস্কার বিতরণ, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কর্মরত পুলিশ অফিসারদের পুনর্মিলনী, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইজিপির সম্মেলন, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ইত্যাদি।

পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) মো. সোহেল রানা জানান, আগামী ০৮ ফেব্রুয়ারি আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের পুলিশ সপ্তাহের নানা আয়োজন। পুলিশ সপ্তাহে বিগত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
পিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।