ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজশাহী বারের অর্থ আত্মসাৎ, ১৬ আইনজীবী বরখাস্ত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯
রাজশাহী বারের অর্থ আত্মসাৎ, ১৬ আইনজীবী বরখাস্ত

রাজশাহী: বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার সমিতির কল্যাণ তহবিল থেকে ১৬ আইনজীবীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিএনপিপন্থী ওই আইনজীবীরা ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বার সমিতির নেতৃত্বে ছিলেন। সে সময় তারা কল্যাণ তহবিলের এক কোটি ২৮ লাখ তিন হাজার ৬৮১ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগে উঠে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে বার সমিতির বিশেষ সাধারণ সভায় তাদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সমিতির কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সমিতির বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট লোকমান আলী। সভায় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একরামুল হকসহ অন্যান্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অ্যাডভোকেট একরামুল হক।

বরখাস্ত হওয়া আইনজীবীরা হলেন- সাবেক বার সভাপতি ও কল্যাণ তহবিল স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, তহবিলের সাবেক চেয়ারম্যান এরশাদ আলী ঈশা, বারের সাবেক সভাপতি মোজাম্মেল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জমসেদ আলী-১, মাইনুল আহসান পান্না ও আফতাবুর রহমান, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (কল্যাণ তহবিল) পারভেজ তৌফিক জাহেদী, হাবিবুর রহমান-৩, সানোয়ার কবির খান ঈশা ও জানে আলম, সাবেক হিসাব সম্পাদক শামসুল হক, মুন্সি আবুল কালাম আজাদ ও আবদুর রাজ্জাক সরকার, সাবেক অডিট সম্পাদক আবদুল মতিন চৌধুরী রুমি, আদিব ইমাম ডালিম ও মাহমুদুর রহমান রুমন।

বাংলানিউজকে সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক বলেন, সাধারণ সভায় সাবেক এ নির্বাহী কর্মকর্তাদের কল্যাণ তহবিলের সদস্যপদ বাতিল করা হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তারা এখন শুধু সহযোগী সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন। তবে এদের মধ্যে থেকেও জমসেদ আলী-১, মাইনুল আহসান পান্না ও আফতাবুর রহমানকে তিন বছরের জন্য এবং শামসুল হক, আবদুল মতিন চৌধুরী রুমি, আবদুর রাজ্জাক সরকার, মাহমুদুর রহমান রুমন, মুন্সি আবুল কালাম আজাদ ও আদিব ইমাম ডালিমকে ছয় মাসের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, বরখাস্তকালীন সময়ে এ আইনজীবীরা সমিতির কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন না। আদালতে আইন পেশা পরিচালনাও করতে পারবেন না তারা।  

আর টাকা ফেরত দিতে এই ১৬ জনকে এক মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে সমিতিতে টাকা ফেরত না দিলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। তবে টাকা ফেরত দিলে তারা তাদের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের জন্য সমিতিতে আবেদন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৯
এসএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।