ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নে সরকারের উদ্যোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৯
‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নে সরকারের উদ্যোগ সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষ

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নে ইতোমধ্যেই কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে একাধিক ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। 

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ উদ্যোগ গ্রহণের বিশেষ অঙ্গীকার করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির কেন্দ্রীয় দর্শন হিসেবে গ্রামকে সব সময় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।

‘আমার গ্রাম আমার শহর’ অঙ্গীকারটি বাস্তবায়নে সরকার যে লক্ষ্য ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তা হচ্ছে, উন্নত যোগাযোগ, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, উন্নত পয়নিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার ও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক শহরের সব সুবিধাদির ব্যবস্থা করা। ’ 

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের এ নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একাধিক সভা ও ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নিম্নোক্ত ক্ষেত্র চিহ্নিত করে পরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এগুলো হলো- ১. দেশব্যাপী প্রতিটি গ্রামে উন্নত রাস্তাঘাট, যোগাযোগ স্থাপন সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন। ২. পল্লী এলাকায় গ্রামীণ হাটবাজার সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ ও উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন। ৩. গ্রাম পর্যায়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সমন্বিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন বিষয়ক পরিকল্পনা। ৪. নিরাপদ পানির উৎস সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ ও উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন। এ পরিকল্পনা বিভিন্ন পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯ 
এসকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।