মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) আদালত ধানমণ্ডি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এবং পুলিশের উপপরিদর্শক আশরাফ আলী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অভিযোগপত্র দাখিলের পর বিচারক ‘দেখিলাম’ লিখে তাতে স্বাক্ষর করেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে শফিকুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব।
অভিযান শেষে রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-২ এর অধিনায়ক আশিক বিল্লাল জানান, অভিযানের সময় শফিকুলের কাছে সাত প্যাকেট হলুদ রঙের ইয়াবা পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ ধরনের ইয়াবা পাওয়া যায়নি। এ ইয়াবায় কোনো প্রকার গন্ধ নেই। এটা নতুন আবিষ্কার।
তিনি আরও বলেন, অভিযানে একটা বিদেশি পিস্তলসহ তিন রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি ক্যাসিনোতে খেলার কয়েন, স্কোরবোর্ড ও ৫৭২ প্যাকেট তাস উদ্ধার করা হয়েছে। কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের যেসব জিনিসপত্র পাওয়া গেছে ধারণা করা হচ্ছে আগে এ ক্লাবে ক্যাসিনো খেলা হতো।
আটকের পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর র্যাব বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করে।
অস্ত্র ও মাদক মামলায় দুই দফায় ১৩ দিনের রিমান্ডে নিয়ে শফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১০ অক্টোবর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। সেই থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
কেআই/ইউবি