মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) ৪৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবস উপলক্ষে ‘লার্নিং বাই ডুয়িং হোক শিক্ষার ভিত্তি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হতদরিদ্র শ্রমজীবী শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী নিয়োগ দেওয়া চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে যাতে তারা কারিগরি শিক্ষা নিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারে।
প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষতা উন্নয়নের বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব কর্মবাজার উপযোগী দক্ষতা উন্নয়নে আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। আমরা তাৎপর্যপূর্ণভাবে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে সক্ষম হয়েছি। এখন এসডিজি অর্জনে কাজ করতে হবে। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এর বিকাশে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রয়োগিক শিক্ষার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। খেলার ছলে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় শিক্ষা চালু করে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শেখার প্রতি মনোযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সব কাজ ও শিক্ষাকে উপভোগ্য হিসেবে গ্রহণ করবে। যার মধ্য দিয়ে দেশে বৃদ্ধি পাবে জাতীয় উৎপাদশীলতা। শিশুদের প্রতিভা ও বুদ্ধির বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে শিক্ষাকে মানসিক চাপমুক্ত করে আনন্দময় করার প্রতি সরকার গুরুত্বারোপ করেছে।
প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, কারিগরি শিক্ষার প্রদানের মাধ্যমে এ দেশের বিপুলসংখ্যক বেকার যুব সমাজকে আয়বর্ধক মানবসম্পদে রূপান্তর করতে হবে।
আইডিইবি’র সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রওনক মাহমুদ। অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মো. শাহ আলম মজুমদার।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
এমআইএইচ/এসআরএস