বুধবার (১৩ নভেম্বর) ভোরে লঞ্চটি ওই চরে আটকা পড়ে। এতে ওই লঞ্চে থাকা অন্তত সাড়ে ৫শ’ যাত্রী চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।
লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দাবি কুয়াশার কারণে চরে আটকা পড়েছে লঞ্চটি, তবে যাত্রীদের অভিযোগ, আকাশে কোনো কুয়াশা ছিল না, জোছনা থাকা সত্বেও চালক লঞ্চটি চরে উঠিয়ে দেয়।
লঞ্চের যাত্রী সিনিয়র সাংবাদিক মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ ও উন্নয়নকর্মী মো. মাসুদ শিকদার বাংলানিউজকে মোবাইল ফোনে বলেন, ঢাকার উদ্দেশে বরগুনা থেকে ছেড়ে আসা এমভি শাহরুখ-২ নামে একটি লঞ্চ বুধবার (১৩ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে চরে আটকা পড়ে। হঠাৎ ধাক্কা লাগার কারণে লঞ্চে থাকা যাত্রীরা ভয়ে আঁতকে ওঠেন। লঞ্চে থাকা প্রায় সাড়ে ৫শ’ যাত্রী রয়েছেন। তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই লঞ্চটি চরে আটকা রয়েছে।
মির্জা খালেদ আরও বলেন, সকাল ১০টার দিকে ওই লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের চরে নামিয়ে দিচ্ছেন। তবে ওই চরটি মানুষের জন্য নিরাপদ নয় বলেও তিনি জানান।
এমভি শাহরুখ-২ লঞ্চের সারেং মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, কুয়াশা থাকার কারণে ঠিকমতো দেখতে না পাওয়ায় লঞ্চটি চরে ওঠে গেছে। আমরা যত শিগগির সম্ভব লঞ্চটি চর থেকে নামানোর জন্য চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
আরএ