বুধবার (১৩ নভেম্বর) জিইসি কনভেনশন সেন্টারে সেরা করদাতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের মাথাপিছু জমি কম, জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি।
বাংলাদেশ টেকসই হবে কিনা পাকিস্তানিদের কাছে সংশয় ছিল। এখন পাকিস্তানের টেলিভিশনে বুদ্ধিজীবীরা আক্ষেপ করে বলেন- তাদের বাংলাদেশের মতো বানিয়ে দিতে। আমাদের রিজার্ভ ৩২-৩৩ বিলিয়ন ডলার। আমরা মানব উন্নয়ন সূচকে ভারত পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বিশ্বাস করেন রাষ্ট্রীয় জীবনে স্বপ্ন থাকতে হয়। আমরা স্বপ্নের ঠিকানা অতিক্রম করতে চাই। এর জন্য আমাদের কর দিতে হবে।
জিডিপিতে করের অবদান ১০ শতাংশ, যা নেপালের চেয়ে কম। করদাতা সম্মাননা মানুষকে কর দিতে উৎসাহিত করছে। এটি উপজেলা পর্যায়েও নিয়ে যেতে হবে, ছড়িয়ে দিতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ গড়তে হবে।
অনেক সময় করদাতাদের নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা হয়। যারা করের আওতার বাইরে তাদের কর দিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সবাই কর দিলে ২০৪১ সালের আগেই আমাদের দেশ স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।
কর কমিশনার জিএম আবুল কালাম কায়কোবাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক, কর আপিলাত ট্রাইব্যুনালের সদস্য আবু দাউদ, কর কমিশনার ইকবাল হোসেন, মাহবুবুর রহমান, কর আপিল অঞ্চলের কমিশনার হেলাল উদ্দিন সিকদার, ব্যারিস্টার মুনতাসির বিল্লাহ ফারুকী প্রমুখ।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশে প্রচুর অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। পদ্মা সেতু, টানেল, অর্থনৈতিক জোন, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অনেক মেগা প্রকল্প হচ্ছে দেশে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। দেশের মানুষ কর দিচ্ছেন বলে এটা সম্ভব হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভ্যাট ট্যাক্সের নামে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা যাবে না। চট্টগ্রামে আধুনিক কর ভবনের যে দাবি উঠেছে তা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত।
চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি জামাল উদ্দিন চট্টগ্রামে কর ভবন নির্মাণের দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে ৩৮ জন সেরা করদাতাকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি