বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ, তথ্য-প্রমাণ ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে- আবরার ফাহাদকে মারধরের সঙ্গে সরাসরি ১১ জন জড়িত ছিলেন। বাকিরা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ঘটনার পরিকল্পনা এবং নির্দেশনার সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন।
হত্যার মোটিভের বিষয়ে তিনি বলেন, হত্যার মোটিভ হিসেবে একক কোনো কারণ দায়ী করা যাচ্ছে না। অনেক কারণের মধ্যে একটি কারণ তাকে শিবির হিসেবে সন্দেহ করা। জড়িত সবাই উচ্ছৃঙ্খল আচরণে অভ্যস্ত। ধারাবাহিক র্যাগিং ও উগ্র আচরণ করতে করতে হত্যাকাণ্ডের মতো নৃশংস ঘটনা ঘটান তারা।
আসামিদের ভাষ্যমতে, আবরার ফাহাদ দেখা হলে বড়দের সালাম দিতেন না। সেজন্য আগে থেকেই নানা কারণে আবরার ফাহাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন তারা। অনেক বিষয়ের সমষ্টিতেই ফাহাদকে পেটানো হয়েছিলো।
জড়িতরা নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয়কে শেল্টার হিসেবে ব্যবহার করতেন জানিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে তারা অছাত্রের মতো বিশৃঙ্খল আচরণে অভ্যস্ত ছিলেন।
মনিরুল ইসলাম বলেন, একজনকে মেরে অন্যজনকে শিক্ষা দিতে কিংবা জুনিয়রদের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দিতে তারা দীর্ঘদিন ধরে র্যাগিংয়ের নামে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। যার আচরণ অপছন্দ হতো তাকেই ডেকে এনে নানা নির্যাতন করতেন। অন্য কেউ এমন অভিযোগ করলেও আমরা বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখবো।
ঘটনার দিন রাত ১০টার পর থেকে আবরার ফাহাদকে মারধর শুরু করা হয়। ২টা ৫০ মিনিটের দিকে বুয়েটের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হল-বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরেকটু মনিটরিং করলে এ ঘটনা এড়ানো যেতো। তদন্তে আমরা তাদের ব্যর্থতা দেখেছি। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে তাদের গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নিতে পারে, এটি পুলিশের বিষয় নয়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৩টার দিকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়, শিবির সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের টহল টিম হলের বাইরে অপেক্ষা করলে পরে জানানো হয় কিছু হয়নি। ৩টার আগে পুলিশ এ বিষয়ে কিছু জানতে পারেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
পিএম/ওএইচ/