বুধবার (১৩ নভেম্বর) তদন্তকারী সংস্থা ডিবি পুলিশ সদস্যরা আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন।
এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় মোট ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং এজাহার বহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অর্থাৎ, এ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং পলাতক রয়েছেন ৪ জন।
গ্রেফতার ২১ জনের মধ্যে ৮ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের জবানবন্দি, সাক্ষ্য-প্রমাণ, সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ২৫ জনের নামে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
চার্জশিটে ৩১ জনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে। এর মধ্যে শেরেবাংলা হলের ক্যান্টিনবয়, মৃত ঘোষণাকারী চিকিৎসক, সিকিউরিটি গার্ড, ফাহাদকে হাসপাতালে যারা নিয়ে গেছেন তারা, হল প্রভোস্ট এবং হলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অন্যতম।
পলাতক চারজন হলেন- ট্রিপল-ই ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী জিসান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ১৭ ব্যাচের তানিম, মেকানিক্যাল ১৭ ব্যাচের মোর্শেদ ও কেমিক্যাল ১৬ ব্যাচের মুজতবা রাফিদ।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ, তথ্যপ্রমাণ ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ফাহাদকে মারধরের সঙ্গে সরাসরি ১১ জন জড়িত ছিলেন। বাকিরা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ঘটনার পরিকল্পনা এবং নির্দেশনার সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে সম্পৃক্ত।
তদন্ত সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, আবরার ফাহাদকে সরাসরি মারধরে যে ১১ জন অংশ নেন তারা হচ্ছেন- বুয়েট ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৩ ব্যাচের মেহেদী হাসান রাসেল, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৪ ব্যাচের মুহতাসিম ফুয়াদ, ১৫ ব্যাচের অনিক সরকার, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫ ব্যাচের মেহেদী হাসান রবিন, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬ ব্যাচের ইফতি মোশারফ হোসেন সকাল, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫ ব্যাচের মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ট্রিপল-ই বিভাগের ১৬ ব্যাচের মো. জিসান, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের শামীম বিল্লাহ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের তানিম, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের শামসুল আরেফিন রাফাত ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মুনতাসির আল জেমি। এই ১১ জনের মধ্যে জিসান ও তানিম পলাতক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
পিএম/এএ