বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর স্থানীয় সাংবাদিক হাদিউল হৃদয় এ কর্মসূচির আয়োজন করেন। এতে ছাত্র, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
সাংবাদিক হাদিউল হৃদয় জানান, আমবাড়িয়া গণকবরে শায়িত ১৫ জন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতাধিক মানুষ প্রদীপ হাতে দাঁড়িয়ে যান। রাত ৭টা ১ মিনিটে শতাধিক প্রদীপ একযোগে প্রজ্জ্বলন করা হয়। পরে শহীদদের আত্মার রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এরপর সংক্ষিপ্ত স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন মাগুড়া বিনোদ ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বুলবুল, সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাচ্চু, দোবিলা ইসলামপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা শামছুল আলম, দোবিলা দেবীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক মোহাম্মদ উল্লাহ ইউসুব প্রমুখ।
১৯৭১ সালের ১১ নভেম্বর তাড়াশের নওগাঁ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত হয় পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা। এ পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ১৩ নভেম্বর আমবাড়িয়া গ্রামে আগুন জ্বালিয়ে দেয় হানাদার বাহিনী। এক পর্যায়ে গ্রামের নিরীহ ১৪ জন মানুষকে ধরে এনে জীবন্ত আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাদের একসঙ্গে গণকবর দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
জেডএস