বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ৩টার পর শিশুটি চুরির ঘটনা ঘটলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চেপে রাখার চেষ্টা করায় সন্ধ্যার পর তা জানাজানি হয়। এখনো চুরি হওয়া ওই নবজাতককে উদ্ধার কিংবা জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে বগুড়ার কাহালু উপজেলার বেলঘড়িয়া গ্রামের সৌরভের সন্তানসম্ভবা স্ত্রী নাহিদা বেগমকে (২০) হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার গাইনী ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। বুধবার দুপুরে তাকে তৃতীয় তলায় অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হলে সেখান থেকে তার নবজাতক চুরির অভিযোগ উঠে।
বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বাংলানিউজকে জানান, নাহিদা বেগম বুধবার দুপুরে অপারেশন থিয়েটারেই স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করেন। এরপর কর্তব্যরত নার্স ওই নবজাতককে নিয়ে অপারেশন থিয়েটারের বাইরে অপেক্ষমান নাহিদা বেগমের সঙ্গে আসা তার নারি শাশুড়ি ওবেদা বেগমের কোলে দেন।
চুরি হওয়া শিশুটির বিষয়ে ওবেদা বেগম জানান, অপরিচিত এক মহিলা তাকে বলেন বাচ্চাটি শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে। এক পর্যায়ে ওই মহিলা তার কাছ থেকে বাচ্চাটিকে নিজের কোলে নেয় এবং তাকে (ওবেদা) তার সঙ্গে যেতে বলে। পরে নিচতলায় নামার সময় ভিড়ের মধ্যে অপরিচিত সেই মহিলাটি হারিয়ে যায়।
শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতালজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকলেও ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ চলার কারণে বেশ কিছু স্থানে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ফলে পুরো হাসপাতালের ফুটেজ পাওয়া সম্ভব নয়। তারপরেও যে ক’টি ক্যামেরা সচল রয়েছে সেগুলোর ফুটেজ আমরা দেখছি।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত ওসি) আর কে বি রেজা বাংলানিউজকে জানান, নবজাতক চুরির বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে তদন্তের মাধ্যমে বাচ্চাটির সন্ধান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
কেইউএ/জেডএস