নবীগঞ্জ শহর থেকে বুধবার (১৩ নভেম্বর) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৯ এর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে ফজলু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় লাবুসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হলো।
র্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনোয়ার হোসেন শামীম লাবু গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় ছুরিকাঘাত করে হরিপুর গ্রামের ফজলু মিয়াকে (২২) হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে বানিয়াচং থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরদিন ৭ নভেম্বর হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হরিপুর গ্রামের লেবু মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের ৫ দিন পর ফজলু মিয়ার বাবা ১৮ জনকে আসামি করে বানিয়াচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) লিটন চন্দ্র দাশকে। পরে গত ১১ নভেম্বর গ্রেফতার হয় উজিরপুর গ্রামের সালমান আহমেদ নামে আরো যুবক।
বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) শেখ মো. সেলিম বলেন, ৬ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় ফজলু মিয়ার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় একই গ্রামের প্রতিপক্ষ সালমান মিয়াসহ কয়েকজনের। এ সময় পার্শ্ববর্তী একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ছুরি নিয়ে ফজলুর বুক এবং কানের নিচে ছুরিকাঘাত করে সালমান ও তার লোকজন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
জেডএস