বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনকালে সংসদ সদস্যদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭৬ সাল থেকে নৌ-দুর্ঘটনার তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে। তখন থেকে এ পর্যন্ত নৌ-দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬৫৭টি। এসব দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারীর সংখ্যা ৪ হাজার ৭১১ জন। এছাড়া আহত ও নিখোঁজের সংখ্যা যথাক্রমে ৫৩৯ ও ৪৮২ জন।
সংসদে দেওয়া তথ্য মতে, ১৯৮৬ সালে ১১টি দুর্ঘটনায় ৪২৬, ১৯৯০ সালে ১৩টি দুর্ঘটনায় ১৬৮, ১৯৯৩ সালে ২৪টি দুর্ঘটনায় ১৮৩, ১৯৯৬ সালে ২০টি দুর্ঘটনায় ১৪৭, ২০০০ সালে ৯টি দুর্ঘটনায় ৩৫৩, ২০০২ সালে ১৭টি দুর্ঘটনায় ২৯৭, ২০০৩ সালে ৩১টি দুর্ঘটনায় ৪৬৪, ২০০৫ সালে ২৮টি দুর্ঘটনায় ২৪৮, ২০০৯ সালে ৩৪টি দুর্ঘটনায় ২৫১ ও ২০১২ সালে ১৫টি দুর্ঘটনায় ১৬৩ জনের মৃত্যু হয়।
এছাড়া ১৯৭৬ সালে কোনো নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেনি। ১৯৮৩ সালে দুটি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো হতাহত হয়নি।
অন্যদিকে ১৯৯৫ সালে বিভিন্ন নৌ-দুর্ঘটনায় ৬০, ১৯৯৬ সালে ৪৭, ১৯৯৮ সালে ৫৮, ২০০০ সালে ৫০ ও ২০১৪ সালে ৬৭ জন নিখোঁজ হন।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দুর্ঘটনার পর তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে, নৌ-দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হলো দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল পরিবহন, চালকের অদক্ষতা, বেআইনী ও বেপরোয়া নৌযান চালনা প্রভৃতি। নৌ-দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সরকার ইতোমধ্যেই নানা পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
এসকে/এসই/এইচজে