বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের নারী আসনের সংসদ সদস্য নাজমা আকতারের প্রশ্নের উত্তরে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফেরিঘাট উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া ঘাটে ‘ফেরিঘাট নির্মাণ ও আধুনিকায়নসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিআইডব্লিউটিসির অধীনে পাটুরিয়া সেক্টরে ২০টি, শিমুলিয়া সেক্টরে ১৯টি, চাঁদপুর সেক্টরে ৪টি, ভোলা সেক্টরে ৩টি ও লাহারহাট সেক্টরে ৪টিসহ মোট ৫০টি ফেরি চলাচল করছে। ফেরি সার্ভিসের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের আমলে ইতোমধ্যে ২টি রো রো ফেরি, ৬টি কে-টাইপ ফেরি, ১২টি ইউটিলিটি টাইপ ফেরি নির্মাণ করা হয়েছে।
এবছরের শেষ নাগাদ আরও দু’টি কে-টাইপ ফেরি বিআইডব্লিউটিসির বহরে যুক্ত হবে। এছাড়াও নতুন নতুন ফেরি সার্ভিস চালু করা এবং পুরাতন ফেরির রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে প্রকল্পের আওতায় ৬টি কে-টাইপ ও ৬টি ইউটিলিটি টাইপ ফেরি নির্মাণের কাজ চলমান।
আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য মহিবুর রহমানের প্রশ্নের উত্তরে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পর্যটনকে উৎসাহিত করতে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নিয়েছে। ইতোমধ্যে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে খুলনা-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটনবাহী জাহাজ চলাচলের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় পর্যটনকে উৎসাহিত করার জন্য প্রাইভেট সেক্টর থেকে কোনো উদ্যোগ নিলে তা বিবেচনা করা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
‘কোনো ব্যবসায়ী-সংগঠন ক্রয়-ভাড়ায় উপযুক্ত জাহাজ চলাচলের আবেদন করলে তা যাচাই-বাছাই করা হবে। ইতোমধ্যে চলতি বছরের মার্চ বাংলাদেশ ভারত পর্যটনশিল্প বিকাশের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে পর্যটনবাহী-যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল পরিচালনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
এসকে/এসই/এএ