বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মন্ত্রীদের নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধীদল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অনুপুস্থিতিতে তার পক্ষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এই উত্তর দেন।
সম্পূরক প্রশ্নে মুজিবুল হক চুন্নু অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকারের গত মেয়াদে দশ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়। কোনো কোনো উপজেলায় ২০ থেকে ২৪ জন ডাক্তার নিয়োগ পান। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে সেসব জায়গায় দুই থেকে তিনজনের বেশি ডাক্তার নেই। জিজ্ঞেস করলে বলা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা মেডিক্যাল ও জেলা হাসপাতালে সংযুক্ত আছেন। এই সংযুক্তি বাতিল করা হবে কি-না এবং ডাক্তার সংকটের এই সমস্যা সমাধান করা হবে না?
উত্তরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনি যে সমস্যার কথা বলেছেন, এই চিত্র অনেকাংশে অনেক জায়গাতেই সত্য। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কোনো সংযুক্তি এখন দেওয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সরকারের কড়াকড়ি আছে। আগামীতে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে যেসব ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তারা যেখানে যোগ দেবেন, সেখানে দুইবছর থাকতে হবে। তারপর তারা উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য অন্য জায়গায় যেতে পারবেন। কিন্তু নিয়োগের পর প্রথম যোগদান করা হাসপাতালে দুই বছর থাকতে হবে।
এর আগে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন উর রশিদের সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাসাপাতালে জনবল বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা সরকার উপলব্ধি করছে। বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে চার হাজার ৭৫০ জন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দেশের বাইরে আছেন। তিনি আসলে আশা করছি ১৫ দিনের মধ্যে অনুমোদন পাওয়া যাবে। পরে সেখান থেকে চার হাজার ৫০০ জনকে উপজেলায় পদায়ন করা হবে। এতে প্রতি উপজেলায় নয় থেকে ১০ জন ডাক্তার সার্বক্ষণিক থাকবেন। এটা হলে সমস্যাগুলো সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। এছাড়া ইতোমধ্যে অনেক নার্স নিয়োগ করা হয়েছে। এরপর আমরা টেকনিশিয়ান নিয়োগের ব্যাপারেও জোর দেব।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
এসকে/এসই/টিএ