বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক ও জেলা জজ হাফিজুর রহমান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলো।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো- বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চাওড়া চন্দ্রা গ্রামের আবুল ভদ্দরের ছেলে মিরাজ ও একই গ্রামের খোরশেদ চৌকিদারের ছেলে সাইমুন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৭ আগস্ট চাওড়া চন্দ্রা গ্রামের নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর মা আমতলী থানায় অভিযোগ করেন, তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পঞ্চম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার মেয়েও তার সঙ্গে থাকেন। ওই আসামিরা তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্ত্যক্ত করতো।
প্রথম ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি ওই স্কুলছাত্রী তার বাবা আইয়ূব সিকদারের বাড়িতে যায়। ওইদিন বাড়িতে কেউ না থাকায় আসামিরা ওই স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আসামিরা ওই স্কুলছাত্রীকে ভয় দেখালে সে বিষয়টি গোপন রাখে। এমনিভাবে ওই আসামিরা ওই স্কুলছাত্রীকে বিভিন্ন সময় সুযোগ পেলেই ধর্ষণ করতো।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১০ মার্চ ধর্ষণ করার সময় ওই স্কুলছাত্রীর মা বিষয়টি বুঝতে পারে। পরে ওই বছরের ২৬ জুলাই আমতলীর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ওই স্কুলছাত্রীর পরীক্ষা করলে তার মা জানতে পারে সে গর্ভবতী।
রাষ্ট্র পক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মোস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, রাষ্ট্রপক্ষ মামলা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। ধর্ষণের ফলে ওই স্কুলছাত্রী একটি কন্যা সন্তান হয়েছে। নাম সাকিবা (০২)। বিচারক তার রায়ে উল্লেখ করেছেন, ভুমিষ্ট হওয়া শিশু সাকিবার বয়স ২১ বছর বা বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তার ভরণ পোষণ সরকার বহন করবে।
আসামি মিরাজ বাংলানিউজকে বলেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে আপিল করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
এনটি