বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র দীর্ঘ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
বাদী পক্ষে মামলাটি আদালতে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ড. খন্দকার মোসফেকুল হুদা।
তিনি বলেন, বিগত ২০১৪ সালের ১১ জানুয়ারি অবিদীয় মার্ডি নিজবাড়ি নওগাঁর ধামুরহাট থেকে মোটরসাইকেলে করে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে এসিল্যান্ডকে গোবিন্দগঞ্জের রাজা বিরাট সড়কের কাঁটা-ফাঁসিতলার মাঝামাঝি স্থানে ব্যারিকেট দিয়ে পথরোধ করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। সেখান থেকে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি আখক্ষেতে নিয়ে লোহার রড় দিয়ে অ্যালোপাথারি কুপিয়ে হত্যা করে। পরে দুর্বৃত্তরাই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেয় এবং সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয় বলে অপপ্রচার করে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তার প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে নিহত অবিদীয় মার্ডির স্ত্রী শেফালী চরেণের সাক্ষর জাল করে থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত মামলা করেন। এছাড়াও এসিল্যান্ড অবিদীয় মার্ডিকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণ আছে।
এ ঘটনার গাইবান্ধা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে এ আদালতে একটি মামলা করা হয়। ঘটনার দীর্ঘ পাঁচ বছর পর চলতি বছরের ৮ এপ্রিল নিহত এসিল্যান্ডের ভাই ফাদার স্যামসন মার্ডি বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন।
মামলাটি পর্যায়ক্রমে তৃতীয় দফা শুনানির পর বৃহস্পতিবার আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
এসএইচ