বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর উত্থাপিত বিধি ৭১ এর ওপর নোটিশের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
রুস্তম আলী ফরাজীর উত্থাপিত বিষয়টি ছিল ঘুষ, সন্ত্রাস, ক্যাসিনো, মাদকসহ সব সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান সারাবছর অব্যাহত রাখা নিয়ে।
পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আমরা তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছিলেন। মানুষ সাড়া দিয়েছে। আমরা সফল হয়েছি। মাদক নির্মূল নিয়ে আমরা কাজ করছি। মাদক নিয়ন্ত্রণে আমরা বসে নেই। যদিও মাদক আমরা তৈরি করি না। মাদক আসে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে। আমরা ভারত-মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলেছি। ইয়াবা রোধে মিয়ানামরের সঙ্গে তিন দফায় বৈঠক করেছি। চতুর্থ দফায় বৈঠক হবে। মাদকের সাপ্লাই বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বর্ডারে কাজ করছে। সন্ত্রাস দমনে আমরা আইন আপডেট করেছি। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে কাজ চলছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর জন্য গোয়েন্দা সংস্থা আপডেট ও লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো হয়েছে। সিটিটিসি সারাদেশে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। আটটি জঙ্গী সংগঠনকে গেজেট দ্বারা নিষিদ্ধ করেছি। জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রণ করেছি। মাদকও নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। তবে দুর্নীতি, ঘুষ, মাদক, ক্যাসিনো, সন্ত্রাস সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে বলা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কাউকে কিন্তু ছাড় দিচ্ছেন না। তিনি অপরাধীকে আইনের মুখোমুখি করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা মুখোমুখি করছি। যে অভিযান চলছে, তা অব্যাহত থাকবে। এটা বন্ধ হবে না। যতদিন এই ঘুষ, সন্ত্রাস, ক্যাসিনো, মাদকসহ সব সামাজিক অপরাধ সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারব, ততদিন অভিযান চলমান থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৯
এসকে/এসই/টিএ