বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে কথা হয় স্টেশনে কর্মরত রেলওয়ের কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে।
স্থানীয় গোডাউন শ্রমিক আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, ট্রেনটি ঢাকা থেকে দ্রুতগতিতে আসছিল।
নয়ন সরকার নামে অপর প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মেইন লেনে কংক্রিটের স্লিপার থাকলেও ক্রসিং পয়েন্টে কাঠের স্লিপার ছিল। ওই স্লিপারগুলো জরাজীর্ণ হওয়ার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
উল্লাপাড়া রেলস্টেশনের পয়েন্টম্যান আমজাদ আলী বলেন, এ দুর্ঘটনায় চালকের বা স্টেশনমাস্টারের কোনো গাফিলতি নেই। সিগন্যাল ঠিকই দেওয়া হয়েছিল। চালকও সঠিক লেনেই আসছিলেন। যান্ত্রিক ত্রুটি কিংবা রেললাইনের ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্টেশনমাস্টার (গ্রেড-৪) এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, স্টেশন থেকে আমরা সঠিকভাবেই সিগন্যাল দিয়েছিলাম। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি উল্লাপাড়ায় কোনো স্টপিজ নেই। তাই দ্বিতীয় লেন দিয়েই ট্রেনটি দ্রুতগতিতে চলে যাওয়ার কথা ছিল। চালকও দ্বিতীয় লেনেই ইঞ্জিন ঢুকিয়েছিলেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবারও বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ আটটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ট্রেনের লোকো মাস্টার এবং সহকারী লোকো মাস্টার আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে রংপুরগামী ৭৭১ রংপুর এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়ে আগুন ধরে যায়। ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ছয়ঘণ্টা পর ফের ওই রুটে রেল যোগাযোগ সচল হয়। তবে লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার ও সংস্কার শেষ হতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
এএটি