শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বৈশনবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় আবুল খায়ের মিয়া ও জামাল মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছিল। কিছুদিন আগে এ বিরোধের মীমাংসাও হয় সালিশের মাধ্যমে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে খায়েরের পক্ষের স্থানীয় রুবেল মিয়ার বাড়িতে জামালের বাড়ির সদস্য ইমাম হোসেন লুকিয়ে ঢুকেন বলে জানা গেছে। সেসময় ওই বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে রুবেলের স্ত্রীকে একা পেয়ে তাকে ঝাপটে ধরার চেষ্টা করেন ইমাম। এদিকে রুবেল বাড়িতে এসে ইমামকে দেখে ফেললে পালিয়ে যান ইমাম। পালিয়ে গিয়ে জামালের বাড়ির লোকজনকে জানায় খায়েরের বাড়ির লোকজন তাকে মারপিট করেছে। এ খবরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জামাল তার লোকজন নিয়ে খায়েরের বাড়ির দিকে রওনা হয়। পথে ওই বাড়ির বাকপ্রতিবন্ধী শফিকুলকে একা পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করে জামাল ও তার লোকজন। শফিককে হত্যার পর শফিকের বাবা আলী ও চাচা সিরাজসহ কয়েকজনকে পেয়েও কুপিয়ে আহত করে চলে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েয়ে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ দেননি কেউ। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
এসআরএস