আটক রেশমা বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকার মৃত আব্দুল সাত্তার মণ্ডলের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে বগুড়া সদর উপজেলার চকলোকমান মধ্যপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবজাতকটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে বগুড়ার কাহালু উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামের নাহিদা বেগম শজিমেক হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। পরে বুধবার (১৩ নভেম্বর) হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) তিনি একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন। পরে সেখান থেকে রেশমা নবজাতকটিকে শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে বলে নাহিদার কাছ থেকে কোলে নিয়ে দ্রুত হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি লিখিতভাবে পুলিশকে জানায় এবং সেই সঙ্গে গঠন করা হয় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি। এছাড়া ওই নবজাতকের চাচা আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলাও দায়ের করেন।
চুরি হওয়া নবজাতকটিকে উদ্ধারের পর নাহিদাকে শজিমেক হাসপাতাল থেকে সদর থানায় আনা হয়। সেখানে পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আশরাফ ভূঞা নবজাতকটিকে তার মায়ের কাছে তুলে দেন। এ নবজাতকটির বাবার অনুরোধে এসপি শিশুটির নাম রাখেন নাবিল সাকিদার।
চুরি যাওয়ার ৩৩ ঘণ্টার মধ্যে নবজাতকটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করতে পারায় শজিমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এসএমএম সালেহ্ ভূইয়া পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, আটক রেশমা কৌশলে নাহিদার কাছ থেকে নবজাতকটিকে চুরি করেন।
তিনি বলেন, রেশমা চুরি করা নবজাতকটিকে প্রথমে তার বাড়ি বগুড়ার শাজাহানপুরের রামচন্দ্রপুর গ্রামে নিয়ে যান। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে পুলিশি অভিযানের ভয়ে তিনি নবজাতকটিকে নিয়ে সদর উপজেলার চকলোকমান এলাকায় ফারুক হোসেন নামে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৪ নভেম্বর রাতে নবজাতকটিকে উদ্ধার করা হয়।
আটক রেশমার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান ওসি বদিউজ্জামান।
বগুড়ার এসপি আলী আশরাফ বাংলানিউজকে জানান, নবজাতক চুরি হওয়ার বিষয়টি জানার পরপরই তাকে উদ্ধারের জন্য পুলিশের একাধিক টিমকে মাঠে নামানো হয়। রেশমা কেন শিশুটিকে চুরি করলো সেটি জানার জন্য তাকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
কেইউএ/আরআইএস/