ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, পাঁচ রাউন্ড তাজা গুলি ও চারটি রাম দা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার তেলিয়া শ্মশান ঘাটে এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।
নিহত রাজ্জাক জেলার শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামের মৃত রফিজ উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নরসিংদীর বিভিন্ন থানা এবং দ্রুত বিচার আইনে হত্যা, ডাকাতিসহ ১৬টি মামলা রয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- উপ পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন, কনস্টেবল মশিউর রহমান ও আনিসুর রহমান।
পুলিশ জানায়, বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানুয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে ডাকাত রাজ্জাক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় জিজ্ঞাসাবাদে অস্ত্র ও সহযোগীদের ব্যাপারে তথ্য দেয় রাজ্জাক। পরে রাতে তাকে নিয়ে সহযোগীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে তেলিয়া শালুরদিয়া শ্মশানঘাট এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। সে সময় সহযোগীরা তাকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও গুলি চালায়।
উভয়পক্ষের গুলি বিনিময়ের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় রাজ্জাক। এসময় আহত হয় পুলিশের তিন সদস্য। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত রাজ্জাক আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার। তার বিরুদ্ধে নরসিংদীর বিভিন্ন থানা এবং দ্রুত বিচার আইনে হত্যা, ডাকাতিসহ ১৬টি মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
আরএ