শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের তৃতীয় ব্লকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
আহত অবস্থায় সোহরাব বর্তমানে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের আট নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ কর্মী হলেন- আসিফ ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। তারা দুইজনেই জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বে রয়েছেন এবং রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ কর্মী আসিফের নেতৃত্বে সোহরাবসহ ফ্যাইনান্স বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হলের তৃতীয় ব্লকের ২৫৪ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সোহরাবকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আসিফ ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। একপর্যায়ে তারা সোহরাবকে রড দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। তারা সোহরাবের মাথা ও হাতে বেদম মারধর করে। সোহরাবের মাথা ফেটে রক্তক্ষরণ শুরু হলে তারা মারধর বন্ধ করেন। পরে সোহরাবের বন্ধুরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ও পরে রামেকে ভর্তি করান।
হাসপাতালে সোহরাবের সঙ্গে থাকা তার সহপাঠীরা জানান, সোহরাবের বাম হাতের কনুইয়ের ওপর ও নিচে দুই জায়গায় ভেঙে গেছে। ডাক্তার জানিয়েছে মাথার তিন জায়গায় সেলাই দেওয়া লাগতে পারে। তার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আপাতত এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে তার সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোহরাবের এক সহপাঠী জানান, গত কয়েকদিন থেকেই সোহরাবকে আসিফ নানাভাবে অত্যাচার করে আসছিল। দুইদিন আগেও আসিফ সোহরাবকে ডেকে নিয়ে চড় থাপ্পর মারে।
জানতে চাইলে ছাত্রলীগ কর্মী আফিস দাবি করেন, তারা হলের ছাদে মাদক সেবন করছিল। আমরা তাদের মাদকসহ আটক করে নিয়ে আসি। এসময় তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে তাদের একজনের মাথা ফেটে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
আরএ