ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাউথ এশিয়ান ডায়াসপোরা অ্যাওয়ার্ড পেলেন ফজলে হাসান আবেদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
সাউথ এশিয়ান ডায়াসপোরা অ্যাওয়ার্ড পেলেন ফজলে হাসান আবেদ আউটস্ট্যান্ডিং মেম্বার অব দ্য সাউথ এশিয়ান ডায়াসপোরা অ্যাওয়ার্ড পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ

ঢাকা: ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ার ইমেরিটাস স্যার ফজলে হাসান আবেদকে আউটস্ট্যান্ডিং মেম্বার অব দ্য সাউথ এশিয়ান ডায়াসপোরা অ্যাওয়ার্ড (ওএমএসএডি) পুরস্কারে ভূষিত করেছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অন্তর্ভুক্ত ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ (আইএসএএস)।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে সিঙ্গাপুরের শাংগ্রি-লা হোটেলে আয়োজিত গালা ডিনার অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।  

শনিবার (১৬ নভেম্বর) ব্র্যাকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস’র নির্বাহী পরিচালক মনজুর হাসান ওবিই স্যার ফজলের পক্ষ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, ‘সাউথ এশিয়ান ডায়াসপোরা কনভেনশন ২০১৯’ শীর্ষক দুদিনব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসাবে এই গালা ডিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। ‘স্পন্দিত দক্ষিণ এশিয়া-উদ্ভাবনশীল অভিবাসী সম্প্রদায়’ প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন আয়োজনে অন্যান্যদের মধ্যে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসও সহায়তা করেছে।
  
অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুর সরকার এবং অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর নেতা ও ব্যক্তিমালাকানা খাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান এবং সিঙ্গাপুর সরকারের ভ্রাম্যমাণ রাষ্ট্রদূত গোপীনাথ পিল্লাই তার বক্তব্যে বলেন, স্যার ফজলের কর্মপ্রচেষ্টা বিশ্বের লাখো মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনে দিয়েছে। সামাজিক উন্নয়নে তার অবদান এবং দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে তার জীবনলক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ার অভিবাসী সম্প্রদায় শুধু নয়, সমগ্র সমাজের জন্য অনুপ্রেরণা সঞ্চার করেছে।

আগে এই পুরস্কারে ভূষিতদের মধ্যে রয়েছেন সিঙ্গাপুরের সাবেক রাষ্ট্রপতি এসআর নাথান।

ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০০৪ সালে ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি অব সিঙ্গাপুরের আওতায় স্বায়ত্ত্বশাসিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসাবে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করে থাকে। দক্ষিণ এশিয়ার বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে গবেষণালব্ধ নিবিড় পর্যবেক্ষণ, তথ্য-উপাত্ত সিঙ্গাপুর এবং এর বাইরে বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারক, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, শিক্ষাবিদ ও গবেষণা সম্প্রদায়ের সামনে তুলে ধরে ইতিবাচক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।