ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভালো মানুষ হতে বই পড়ার বিকল্প নেই: আরেফিন সিদ্দিক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
ভালো মানুষ হতে বই পড়ার বিকল্প নেই: আরেফিন সিদ্দিক

সাতক্ষীরা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, ভালো মানুষ হতে বই পড়ার বিকল্প নেই। যে বই পড়ে তার মাঝে সংবেধনশীলতা জন্ম নেয়। আর একজন সংবেদনশীল মানুষ কখনও অসৎ হতে পারে না। সে কখনও অন্যায় করতে পারেন না। তিনি সৃষ্টির সব জীবকে ভালোবাসবেন।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সাতক্ষীরার শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে মুজিববর্ষ পালন ও কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আরেফিন সিদ্দিক আরও বলেন, তোমরা যারা এ প্রজন্মের প্রতিনিধি, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসারণ করবে।

তাহলে দেখবে তোমরা কোনো অন্যায় করতে পারবে না এবং সত্যিকারের সু-নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। সত্যিকারের সুনাগরিক হতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে হবে।  

সাবেক এ উপাযার্চ বলেন, জিপিএ-৫ পেলেই তাকে মেধাবী বলার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে মেরেছে, তারাও কম মেধাবী ছিল না। এখানে মেধাকে মেধা বলা যাবে না। এই মেধা দিয়ে দেশের কোনো মঙ্গল হতে পারে না। জিপিএ-৫ বা জিপিএ-৪ দিয়ে মেধার মূল্যয়ন করার সুযোগ নেই। মেধার পাশাপাশি মানবিক মূলবোধ নিজের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তৎকালীন ফ্রান্সের সংস্কৃতি মন্ত্রী ও দার্শনিক আঁদ্রে মায়েরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বিভিন্ন কারণে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বাংলাদেশে এসে বঙ্গুবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর কাছে প্রশ্ন করেন- আপনার সবচেয়ে বড় অর্জন কোনটা? বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘আমি মানুষকে ভালোবাসি। ’ তিনি আবারও প্রশ্ন করেন, আপনার মন্দ দিক কোনটি? তখন বঙ্গবন্ধু বলেন, আমি মানুষকে বেশি ভালোবাসি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বলেছেন মানুষকে ভালোবাসো। মানুষকে ভালোবাসাই হলো বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমি শোষকের পক্ষ নয়, শোষিতের পক্ষে।

তিনি আরও বলেন, যে বাড়িতে পর্যাপ্ত বই নেই সেইটিও একটি অন্ধকার বাড়ি।

জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আমেদ রবি।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) আবদুল মান্নান ইলিয়াস, যুগ্ম সচিব (সংসদ ও আইন) শওকত আলী, যুগ্ম সচিব ফয়েজুর রহমান ফারুকী, রেজিস্ট্রার অফ কপিরাইটস (যুগ্ম সচিব) জাফর রাজা চৌধুরী, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক ফরিদ আহমেদ, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পরিচালক নেসার উদ্দিন আইয়ুব প্রমুখ।

আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক হুসাইন শওকত, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রাসেল প্রমুখ। এর আগে মেলা উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে।

জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ মেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলা চলবে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত।

এবারের বই মেলায় বাংলা একাডেমি, চলচিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর ও ৩২টি খ্যাতনামা প্রকাশনী প্রতিষ্ঠানসহ ৪২টি প্রতিষ্ঠানের ৭০টি স্টল স্থান পেয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।