শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে আশুলিয়ার বেরনের সোনামিয়া মার্কেট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে আশুলিয়ার বেরনের তেতুলতলা এলাকায় শ্রমিককে মারধরের ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার ওই যুবলীগ নেতা আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার সোনামিয়া মার্কেটের বারেক ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা।
অন্য আসামিরা হলেন- ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক আবুল সরকারের ছেলে সোহেল সরকার (৩২), জুয়েল মোল্লা (৩৫), আমির হোসেনের ছেলে শাহিন (২২), মজিবরের ছেলে শিপু (৩০), আরাফাত (৩২), সাগর (২৮) ও টগর (২৮)।
ভুক্তভোগী হারুন (২৫) মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার বাকসাট্টা গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হারুন নামের ওই শ্রমিক দুপুরে খাবারের জন্য কারখানা থেকে বাসায় যাচ্ছিলেন। এসময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অভিযুক্ত সাগর তেতুল তলার মোড়ে ডেকে নিলে লাঠি, লোহার রড, লোহার পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ইয়ারপুর ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা চালায়। এসময় তার কাছে থাকা একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন, গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ও পকেটে থাকা ১ হাজার ৭৩০ টাকা নেওয়ার পর হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎক তাকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম সুমন বাংলানিউজকে বলেন, মামলার ভিত্তিতে ২ নম্বর আসামি রাজন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেফতার যুবলীগ নেতা এক পোশাক শ্রমিকের পা ভেঙে দেওয়া অভিযোগে হওয়া মামলার প্রধান আসামি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
এইচএডি/