এছাড়াও আসামি আবু কালামকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং শামছু মিয়াকে এক বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
মামলার আরও দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। এসময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ভাটিজগৎচর গ্রামের তাজুল ইসলাম (কসাই), গোলাপ মিয়া ও বিল্লাল মিয়া।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বর সকালে হাছেন আলী প্রধান (হাছু) হত্যা মামলার ১ নম্বর সাক্ষী মনির উদ্দিনকে কুলিয়ারচর উপজেলার ভাটিজগৎচর গ্রামের জাফরাবাদ মোড়ের একটি চায়ের দোকান থেকে ধরে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে একটি ধানের খলায় নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মনিরের ডান পা কেটে ফেলে।
ঘটনার প্রায় দুই মাস পর ২০০৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আহত মনির উদ্দিনের বড় ভাই মো. সিরাজ মিয়া বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় রোববার সকালে এ রায় দেন বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. আবু সাঈদ ইমাম ও আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাভোকেট ইফতেখারুল ইসলাম পাভেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
আরএ