ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভেসে গেছে ২৫ কোটি টাকার মাছ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
ভেসে গেছে ২৫ কোটি টাকার মাছ মৎস্য ঘের (ফাইল ফটো)

বরিশাল: ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চল তথা বরিশালের বিভিন্ন ঘের, পুকুর-দিঘি থেকে বন্যার পানি এবং জোয়ারের প্লাবনের সঙ্গে ভেসে গেছে মাছ ও মাছের পোনা। যার হিসেব অনুযায়ী এখাতে মৎস্য চাষিদের ২৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পরবর্তী বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য কার্যালয়ের প্রাথমিক জরিপে ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বরিশাল বিভাগে মোট ২৫ কোটি ৭৯ দশমিক ১৪ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে গেছে। যার মধ্যে রয়েছে বড় মাছ, চিংড়ি ও বিভিন্ন পোনা মাছ।

মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী বরিশাল জেলার ৫৭টি ইউনিয়নের দুই হাজার ২২০টি পুকুর ও দিঘির ৩৫৯.১২ মেট্রিক টন বড় মাছ ও ১২৩.৫৭ লাখ পোনা ভেসে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ১১ কোটি ৮৫ দশমিক ৮৫ লাখ টাকা।

ঝালকাঠি জেলার ৩৪টি ইউনিয়নের ৯৪২টি পুকুর ও দিঘির ১৩৩ দশমিক ৯৮ মেট্রিকটন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ৩৬ দশমিক ৮০ লাখ টাকা।

পটুয়াখালীর ১৯টি ইউনিয়নের ২৮০টি পুকুর ও দিঘি এবং ১৫০টি মাছের ঘের থেকে ৩০ মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও ১৫ মেট্রিক টন চিংড়ি বেরিয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ৬২ লাখ টাকা।

ভোলা জেলার ৪৮টি ইউনিয়নের এক হাজার ১৪৯টি পুকুর ও দিঘি এবং ১২টি ঘের থেকে ৭৬৪ মেট্রিকটন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, চার মেট্রিকটন চিংড়ি ও ৭৪ লাখ পোনা ভেসে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

পিরোজপুর জেলার ৪৭টি ইউনিয়নের এক হাজার ৪৬৫টি পুকুর ও দিঘি এবং ৪৪৬টি মাছের ঘের থেকে ৪১৭ দশমিক ০৮ মেট্রিকটন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, ১২৫ মেট্রিকটন চিংড়ি ও ৪ দশমিক ২০ লাখ পোনা ভেসে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৬২ দশমিক ৫৫ লাখ টাকা।

বরগুনা জেলার ২০টি ইউনিয়নের ৬০টি পুকুর ও দিঘি এবং ৩৪টি মাছের ঘের থেকে ৩২ দশমিক ২২ মেট্রিকটন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, শূন্য দশমিক ২৫ মেট্রিকটন চিংড়ি ভেসে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ৬৪ দশমিক ৯৪ লাখ টাকা।

মৎস্য বিভাগ থেকে আরও জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে বরিশাল বিভাগে মোট ১০ জেলের মৃত্যু ও ১৮ জন আহত হন। ক্ষতিগ্রস্ত হন ১২০টি মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলার। যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ১৫ দশমিক ৬০ লাখ টাকা। এছাড়া ৮৮ লাখ টাকার মাছ ধরা জাল এবং এক কোটি ৪২ দশমিক ২০ লাখ টাকার পুকুর, ঘের ও স্লুইচ গেইট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৎস্য বিভাগের হিসেব অনুযায়ী মৎস্যসহ অন্যান্য সকল বিষয়ে ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ ৩০ কোটি ২৫ দশমিক ১৪ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বাংলনিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করে তা মৎস্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করেছি। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এমএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।