সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে ফরিদপুর জেলার সালথা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- মামলার প্রধান আসামি কালিকাপুর এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে লিয়ন হোসেন (১৮) ও দ্বিতীয় আসামি একই এলাকার রফিউদ্দিনের ছেলে সুমন হোসেন (১৮)।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঈন উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, সিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি লিয়ন ও দ্বিতীয় আসামি সুমন ফরিদপুরের সালথা এলাকায় অবস্থান করছে- এমন গোপন খবরে ভোরে সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি। দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৫ নভেম্বর রাতে সিফাতের বন্ধু মাহির সঙ্গে মারামারি হয় একই এলাকার সুমন ও লিওন নামে দুই যুবকের সঙ্গে। পরের দিন ১৬ নভেম্বর সকালে শহরের কালিকাপুর মোড়ে বসে মোবাইলে গেম খেলছিল মাহি ও সিফাত। তখন সুমন ও লিয়নসহ আরও দু’জন যুবক এসে মাহিকে মারপিট শুরু করে। সেসময় সিফাত তাদের বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তখনই সিফাতকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। পরে সিফাত ও মাহিকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সিফাতের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর ফরিদপুরে নেওয়ার পথে সিফাতের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের বাবা মনোয়ার মিয়া বাদী হয়ে লিওন ও সুমনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
** ঝিনাইদহে স্কুলছাত্রকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এসআরএস