রোববার (১৭ নভেম্বর) রাতে জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেলটিসহ জামিরুলকে হাতেনাতে আটক করা হয়। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে তাকে হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সম্প্রতি এক নৈশপ্রহরীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে এসআই জামিরুলকে ওই থানা থেকে রাঙামাটিতে বদলি করা হয়। পরে সেখান থেকে তিনি হাইওয়ে পুলিশে বদলি হন।
সদর মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এক নৈশপ্রহরীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে সদর মডেল থানা থেকে বদলি হওয়ার আগে একটি অবৈধ মোটরসাইকেল জব্দ করেন এসআই জামিরুল। কিন্তু সেই মোটরসাইকেলটিকে কোনো ধরনের মামলা না দিয়ে নিজের হেফাজতে রেখে দেন তিনি। পরে তিনি সদর মডেল থানা থেকে রাঙামাটিতে বদলি হন। সেখান থেকে হাইওয়ে পুলিশে বদলি হন।
রোববার বিকেলে জামিরুল তার কর্মস্থল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় আসেন। পরে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ব্যারাকের শিকল কেটে সেই মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে যান। গোপন সংবাদে ওইদিন রাতেই শহরের পুনিয়াউট এলাকার একটি মোটর গ্যারেজ থেকে চোরাই মোটরসাইকেলটিসহ জামিরুলকে আটক করা হয়।
ঘটনাটি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ হাইওয়ে পুলিশ বিভাগকে জানানো হয়। সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া খাঁটিহাতা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলামের কাছে জামিরুলকে হস্তান্তর করে সদর মডেল থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের কারও বক্তব্য চেষ্টা করেও জানা যায়নি।
তবে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবির বাংলানিউজকে বলেন, অভিযুক্ত জামিরুলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এসআরএস