মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪৬ মিনিটের দিকে দিকে ধূসর রঙের ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের আর ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটিকে বহন করে যাত্রা শুরু করে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেন। ক্রেনটি সেতুর ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের কাছে পৌঁছালে শুরু হবে পিলারের ওপর স্প্যান বসানোর কার্যক্রম।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকৌশলী জানান, ‘৩-ডি’ স্প্যানকে অনেক আগেই পিলারের ওপর বসানোর উপযোগী করা হয়েছে। সকাল ৯টা ৪৬ মিনিটের দিকে মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে এই স্প্যানটিকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছে ভাসমান ক্রেন। ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে নিয়ে যেতে সময় লাগবে ৩০ মিনিট। আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকলে আজকের মধ্যেই পিলারের ওপর স্প্যান বসানো সম্ভব হবে।
পদ্মাসেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এএটি