স্বামীর পরকীয়ায় বাঁধা দেওয়ায় জেসমিনকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তার স্বজনদের। ঘটনার পর থেকেই জেসমিনের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাগুটিয়া ইউনিয়নের হাটাইল চর এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জেসমিন ওই গ্রামের আহম্মেদ আলী মন্ডলের স্ত্রী ও একই উপজেলার হাফানিয়া গ্রামের কোরবান আলীর মেয়ে।
নিহতের পিতা কোরবান আলী ও তার স্বজনরা বাংলানিউজকে বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে হেলাল মন্ডলের ছেলে আহম্মেদ আলী মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় জেসমিনের। তাদের ঘরে দু’টি সন্তান রয়েছে। এ অবস্থায় স্বামী আহম্মেদ আলী আরেক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ চলে আসছিল।
‘এরমধ্যে সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাতে জেসমিন তার বাবার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হলে স্বামী আহম্মেদ আলী তাকে মারধর করে বাড়ি নিয়ে যায়। পরে ওই রাতেই তাকে হত্যা করে ওড়নার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। ’
চৌহালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসিব উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, স্বামীর বাড়ির গোয়ালঘরে গৃহবধূ জেসমিনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল দাগ রয়েছে। তবে সেই দাগগুলো কিসের তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে জানা যাবে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এসএ/