তবে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) খুলনার বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের বাজার ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে ক্রেতা নেই বললেই চলে।
অনেকে বলছেন, ক্রেতার অভাবে মজুদ থাকা পেঁয়াজ কম দামেই বিক্রি করে দিচ্ছেন পাইকারি বিক্রেতারা। আবার বাজারে নতুন পেঁয়াজও উঠতে শুরু করেছে। নতুন পেঁয়াজ ভ্যানে করে খুচরা বিক্রেতারা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ১৬০ টাকায় বিক্রি করছেন।
শান্তিধামের মোড়ে ভ্যানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা আব্দুল্লাহ বলেন, পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে দিয়েছে। দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠেছে। দাম ১৬০ টাকা। আগামীতে দাম আরও কমবে।
নাসরিন নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, দুই দিন আগে পেঁয়াজ কিনেছি ৩০০ টাকা কেজি। আজ ১৬০ টাকায় নতুন পেঁয়াজ পেয়ে ভীষণ খুশি লাগছে।
বাজারে আসতে শুরু করেছে নতুন পেঁয়াজ, এদিকে চড়া দামের কারণে ঘরে ঘরে কমেছে ব্যবহার- এই দুয়ে মিলে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছেড়ে নামতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
বড় বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দীক বাংলানিউজকে বলেন, নতুন পেঁয়াজ উঠার খবরে পুরাতন পেঁয়াজের দাম কমেছে। খুলনার পাইকারি বাজারে আগের দিনের তুলনায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। দুই দিনের ব্যবধানে ৩০০ টাকার দেশি পেঁয়াজ দাম কমে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে।
এদিকে, পেঁয়াজসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হাতের নাগালে রাখতে খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার (১৬ নভেম্বর) অভিযান চালানো হয়। এ অভিযান ও তদারকিতে পেঁয়াজের দামে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন সংশ্নিষ্টরা।
খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজসহ নিত্য পণ্যের বাজার নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। কোনো ব্যবসায়ী অযৌক্তিক দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শনিবার অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করার অপরাধে নগরীর বড় বাজারের সোহেল ট্রেডার্সের মালিক তাহের পাটোয়ারীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যা অসাধু ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছে।
তিনি জানান, পেঁয়াজসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হাতের নাগালে রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসাধু ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এমআরএম/এফএম