একই অবস্থা জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার ঘাঘর বাজারের। প্রায় অর্ধ শতাধিক পাইকারি ও খুচরা দোকানে লাইন দিয়ে খুচরা বিক্রেতা ও ক্রেতাদের লবণ ক্রয় করতে দেখা গেছে।
গত সোমবার দিবাগত রাত থেকে কোটালীপাড়া উপজেলায় লবণের কেজি ২শ’ টাকা হবে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ গুজবের কারণে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ঘাঘর বাজারে লবণের ডিলার, পাইকারি বিক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের দোকানে লবণ ক্রয়ের জন্য ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। দুপুর ১২টার মধ্যে ডিলার ও অনেক পাইকারি ব্যবসায়ীর গোডাউন লবণ শূন্য হয়ে যায়।
খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মাঠে নামে। হঠাৎ করে এভাবে লবণ ক্রয়ের কারণে অনেক ডিলার বা পাইকারি ব্যবসায়ীরাও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
মধুমতি সল্টের কোটালীপাড়ার ডিলার জালাল শেখ বলেন, একটি গুজবের ওপরে ভর করে জনগণ হঠাৎ করে এভাবে লবণ কিনতে শুরু করেছে। আমরা আগের দামেই লবণ বিক্রি করছি। এ মুহূর্তে দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই।
পাইকারি ব্যবসায়ী গনেশ সাহা বলেন, সকাল থেকেই আমাদের দোকানে লবণ ক্রয়ের জন্য সাধারণ জনগণ ও খুচরা বিক্রেতারা ভিড় করেন। দুপুর ১২টার মধ্যে আমাদের দোকানের সমস্ত লবণ বিক্রি হয়ে যায়।
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের মুদি ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানিয়েছেন, লবণের দাম বেড়ে গেছে এমন গুজবে দোকানের সব লবণ বিক্রি হয়ে গেছে। এক এক জন ১০/১৫ কেজি করে লবণ কিনে নিয়ে গেছে। এখন আর দোকানে কোনো লবণ নেই বলেও জানান তিনি।
কোটলীপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহসিন উদ্দিন বলেন, লবণের মূল্য বৃদ্ধির গুজবের কারণে ঘাঘর বাজারে মঙ্গলবার সকাল থেকেই লবণ ক্রয়ের হিড়িক পড়ে যায়। খবর পেয়ে আমরা দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বাজারে ছুটে আসি। প্রত্যেক ডিলারকে বলে দিয়েছি আগে যে দামে ব্যবসায়ীদের কাছে লবণ বিক্রি করতো এখন সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। এছাড়া খুচরা বিক্রেতাদের ১ থেকে ২ কেজির বেশি লবণ বিক্রি করতে নিষেধ করেছি।
কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে লবণের কোনো সংকট নেই। তাই দাম বৃদ্ধির সম্ভবনাও নেই। যদি কোনো ডিলার বা ব্যবসায়ী বাজার মূল্যর চেয়ে বেশি দামে লবণ বিক্রি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
আরএ