ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাম্যের ভিত্তিতে টেকসই ও শান্তিময় বিশ্ব গড়তে হবে: স্পিকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
সাম্যের ভিত্তিতে টেকসই ও শান্তিময় বিশ্ব গড়তে হবে: স্পিকার

ঢাকা: বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা ঐক্যবদ্ধভাবে নিরসনের মাধ্যমে সাম্যের ভিত্তিতে টেকসই ও শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে আয়োজিত এশিয়া প্যাসিফিক সামিট-২০১৯-এর ‘অ্যাড্রেসিং দ্য ক্রিটিক্যাল চ্যালেঞ্জেস অব আওয়ার টাইম: পিস, রিকনসিলিয়েশন, ইন্টারডিপেন্ডেন্স, মিউচুয়াল প্রসপারিটি অ্যান্ড ইউনিভার্সাল ভ্যালুজ’ শীর্ষক উদ্বোধনী সেশনের কি-নোট স্পিকারের বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সম্মেলনে স্পিকার বলেন, বৈশ্বিক সমস্যা এখন সবার। এটি কোনো ভৌগোলিক সীমারেখায় আবদ্ধ নয়। জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাস, উদ্বাস্তু সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যার আশু সমাধানে বিশ্বকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।  

‘এশিয়া প্যাসিফিক সামিট এ অঞ্চলের সাধারণ লক্ষ্য অর্জনে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। এছাড়া সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতারা জনগণের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সবার একতাবদ্ধ প্রচেষ্টায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাম্যের ভিত্তিতে টেকসই ও শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তুলতে হবে। ’

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়ন বিস্ময়। বিগত এক দশকে দারিদ্র্য ৪০ শতাংশ থেকে কমে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে এখানে। বর্তমানে দেশের ৯৫ ভাগ এলাকা বিদ্যুতের আওতায় এসেছে। পাচঁ হাজার ইউনিয়ন ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, ১০০টি বিশেষায়িত ইকোনমিক জোন স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া ধারাবাহিকভাবে ৮ শতাংশ জিডিপি অর্জন করছে বাংলাদেশ।  

স্পিকার আরও বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ, ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে। দারিদ্র্য, বৈষম্য ও অসমতা দূর করে এক সন্ত্রাসমুক্ত শান্তির মডেল উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ শান্তিকে প্রাধান্য দেয় বলেই জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সর্বোচ্চ অবদান রাখছে। সে কারণে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করে।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন- কিংডম অব কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেক আকিক মহা সেনা পাদে টেকো হুন সেন। এছাড়া মিয়ানমারের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইউ হেনরি ভেন থিও, ইউনিভার্সাল পিস ফেডারেশনের কো-ফাউন্ডার হাক জা হান মুন, রিপাবলিক অব পালাউ’র ভাইস-প্রেসিডেন্ট রেনল্ড ওইলচ, ইন্দোনেশিয়ার ভাইস-প্রেসিডেন্ট জাসুফ কালা প্রমুখ এতে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এসকে/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।