মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনের সামনে থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
আটক ইয়াসমিন তার ঠিকানা সম্পর্কে পুলিশের কাছে একেক সময় একেক তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করায় তার সঠিক পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, গত ১০ নভেম্বর বিকেলে প্রসব ব্যথা শুরু হলে জেলার শিবপুর উপজেলার কুমরাদি গ্রামের রাজমিস্ত্রি শাহ আলম মিয়ার স্ত্রী সখিনা বেগমকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেদিন রাতে সিজারিয়ান অপারেশনে তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। পরে ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় মা সখিনা খাবার খেয়ে হাত ধুতে বাথরুমে যান। সেসময় অন্য রোগীদের নবজাতকের মার খালাতো বোন পরিচয় দিয়ে বোরকা পরিহিত এক নারী সখিনার সন্তানটিকে কোলে নিয়ে বের হয়ে যান। বাথরুম থেকে সখিনা বের হয়ে এসে নিজের মেয়েটিকে দেখতে না পেলে পাশের বেডের রোগীরা তাকে জানা- ‘আপনার খালাতো বোন পরিচয় দিয়ে এক নারী বাচ্চাটিকে নিয়ে গেছেন। ’ ততক্ষণে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যান ওই চোর। ১৯ নভেম্বর সকালে সখিনার কাছে এক নারী ফোন করে জানায়, তার কাছে নবজাতকটি রয়েছে এবং একা এসে নিয়ে যাওয়ার জন্য। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানান সখিনা। এরপর পরই পুলিশ মোবাইলফোন ট্রাকিং করে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে শিশুটিকে উদ্ধারসহ ইয়াসমিনকে আটক করে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহেদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আটক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, পরে বিস্তারিত বলা যাবে। উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
এসআরএস