বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে গাজীপুর মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসেম বাংলানিউজকে জানান, ভোর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস, ট্রাক ও লরি চলাচল কম।
এদিকে, নাওজোর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের অংশে দূরপাল্লার বাস, ট্রাক, লরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। লোকাল বাসসহ অন্যান্য পরিবহনও খুব কম চলাচল করছে।
মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মাঝে মধ্যে দূরপাল্লার গাড়ি চলতে দেখা গেলেও তার অন্য দিনের তুলনায় অনেক কম।
গাজীপুর জেলা ট্রাক-পিকআপ ও ট্যাংক লরি ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর মোতালেব বাংলানিউজকে জানান, টঙ্গী ট্রাক স্ট্যান্ড থেকে কোনো ট্রাক-লরি বের হচ্ছে না। আমাদের শ্রমিকরা নতুন সড়ক আইনের শাস্তি কমানোর দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে এবং তারা রাস্তায় রয়েছে। তবে আমাদের দাবির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মামুন হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন নেই। এছাড়া লোকাল বাসসহ অন্য পরিবহনও অনেক কম। সকালে কোনাবাড়ী থেকে চান্দনা চৌরাস্তায় অটোরিকশায় যেতে হয়েছে। এতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
ভিআইপি পরিবহনের পরিচালক মো. রিপন বাংলানিউজকে জানান, সকালে তাদের বাস রাস্তায় চলাচল শুরু করে। এ সময় গাজীপুর মহানগরের তারগাছ, বড়বাড়ী, কুনিয়া এবং চেরাগআলী এলাকায় বিভিন্ন পরিবহনের বাস শ্রমিকরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ভিআইপি পরিবহনের কয়েকটি বাস ভাঙচুর করে তারা। এরপর থেকে তাদের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার থোয়াই অং প্রু মারমা বাংলানিউজকে জানান, টঙ্গী এলাকার সড়ক থেকে পরিবহন শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং যানবাহন যাতে চলাচল করে সেজন্য শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
আরএস/আরআইএস/